স্ট্রোক কি? স্ট্রোকের কারন, লক্ষন, চিকিৎসা

DR. MD. SHARIFUL ISLAM
0



স্ট্রোক, বিশ্ব প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশ 

ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক আর্গানাইজেশনের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, বিশ্বে প্রতি ২ সেকেন্ডে ১ জন স্ট্রোকে


আক্রান্ত হন এবং প্রতি ৪ সেকেন্ডে ১ জন মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে যত


রোগী মৃত্যুবরণ করেন তার ২০ শতাংশই স্ট্রোক রোগী। স্ট্রোক বা পক্ষাঘাত বাংলাদেশে বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ। সমগ্র বাংলাদেশ


ব্যাপী চালানো এক সমীক্ষা অনুযায়ী স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ও স্ট্রোকের রোগীর সংখ্যা ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে বেশী।


স্ট্রোকের লক্ষণ সহজে চেনার জন্য


বিশ্বব্যাপী ফাস্ট বা দ্রুত করুন


স্ট্রোকের লক্ষণ কীভাবে বুঝবেন


(FAST) বাক্যবন্ধ ব্যবহার করা হয়। এ কারণে এবারের বিশ্ব স্ট্রোক দিবসের স্লোগান


হলো- প্রিসিয়াস টাইম বা প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। ইংরেজি বি ফাস্ট শব্দবন্ধ দিয়েই স্ট্রো-ে


কর লক্ষণ বা উপসর্গ মনে রাখা সম্ভব।



কেন স্ট্রোক হয়


সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক কংগ্রেসে বলা হয়েছে, দশটি ঝুঁকি পূর্ণ কারণ যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে প্রায় ৯০ শতাংশ


স্ট্রোক এড়ানো সম্ভব। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস,ওবেসিটি


বা স্থূলতা, রক্তে চর্বির মাত্রাধিক্য হৃদরোগ স্ট্রোকের অন্যতম প্রধাণ কারণ।


স্ট্রোক ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ,


নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন ও রক্তের চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসকদের


প্রেসক্রিপশনকৃত ঔষধ নিয়মিত সেবন, ধূমপান ও মাদক পরিহার করা উচিত।


চিকিৎসা চাই দ্রুত


স্ট্রোক মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়ে যে স্ট্রোক হয়,


তাকে ইসকেমিক স্ট্রোক বলা হয়। আর মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালি ছিড়ে গিয়ে রক্ত মস্তিষ্কের ভেতর জমলে যে স্ট্রোক হয়,


তাকে হেমোরেজিক স্ট্রোক বলা হয়। মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যে স্ট্রোক হয়, তার চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক থ্রম্বোলাইসিস করে


মস্তিষ্কের জমাটবদ্ধ রক্ত গলিয়ে রক্ত চলাচল আবার স্বাভাবিক করা হয়। তবে এই চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সময়। স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা


যাওয়ার ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মধ্যে রোগীকে এই চিকিৎসা দিতে হয়।


বাড়িতে স্ট্রোকের রোগীর পরিচর্যা নিয়ে সচেতনতার প্রয়োজন আছে। যারা খেতে পারেনা তাদের সুষম


স্ট্রোকের রোগীর পরিচর্যা


পুষ্টিযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করা, দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকার কারণে বেড সোর (চাপজনিত ঘা) যাতে না হয়


সেইদিকে লক্ষ্য রাখা, প্রস্রাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা যারা হারিয়ে ফেলেন তাদের যত্ন ক্ষেত্র বিশেষে ক্যাথেটার এর ব্যবস্থা, পক্ষাঘাতগ্রস্থ


হাত-পায়ের শক্তি ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা এবং পুনরায় স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত ঔষধ সেবন এবং চিকিৎসকের পরামর্শেনিয়মিত ফলোআপের মধ্যে থাকা 





Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)
margin-top: 16px; } input[type=submit] { background-color: #04AA6D; color: white; border: none; } input[type=submit]:hover { opacity: 0.8; }

CSS Newsletter

Subscribe to our Newsletter

   

for daily update,new post